নাজমুল হোসেন,গোয়ালন্দ: পিঁয়াজ,রসুন চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষকদের। উপজেলার দৌলতদিয়া, উজানচর,দেবগ্রাম,ছোটভকলা ইউনিয়ন ও পৌরসভার এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মাঠে মাঠে পিঁয়াজ রসুন লাগানোর কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।উজানচর ইউনিয়ন মৈজদ্দিন মোল্লার পাড়া এলাকার কৃষক আঃ আজিজ,কুদ্দুস,নজরুল বলেন, আমরা গত বারের চেয়ে এ বছরে বেশি করে পিঁয়াজ রসুনের চাষ করেছি। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন নুরু খার মোড় এলাকার কৃষক সামছুদ্দিন,আয়ুব,জলিল, দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপঁচা এলাকার কৃষক আঃ ছালাম,রসিদ,উজ্জ্বল, ছোট ভকলা ইউনিয়নের স্বরুপার চক এলাকার,হালিম,খলিল, বাবু ও পৌরসভা এলাকার কুমড়াকান্দি এলাকার জাফর,জামাল,আঃ কাদেরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক কৃষকেরা বলেন,গত বারের চেয়ে এবার সার,বীজ,কামলা কৃষাণের দাম অনেক বেশি।
এ ছাড়া কৃষি কাজের সকল জিনিসের দামও বেশি। তাছাড়া এক একর জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজ চাষ করতে গেলে,জমি চাষ দেওয়া সার, বীজ,ঔষধ সেচ,কামলা কৃষাণ থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত প্রায় ২২০ হাজার টাকা থেকে ২৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ লেগে যায়। আর এক একর জমিতে রসুন চাষ করতে গেলে প্রায় ১৬০ হাজার থেকে ১৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ লেগে যায় তাঁরা এটাও বলেন মুড়ি কাটা পিঁয়াজ যদি ফলন ভালো হয়। তাঁহলে একর প্রতি ১৮০ মণ থেকে ২০০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।আর রসুনের ফলন যদি ভালো হয় ১৪০ মণ থেকে ১৬০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। কৃষকরা আরো বলেন আমরা গত বারের চেয়ে এবার বেশি করেই পিঁয়াজ রসুন চাষ করেছি ভালো ফলন ও দাম পাবার আশায়। ও কৃষি অফিস থেকে আমাদের একটু সহোযোগিতায় করত তাঁহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম। কৃষকরা এটাও জানান,যে মুড়িকাটা পিঁয়াজের সাথে সাথে দানা পিঁয়াজের চাষ করব যাতে করে আগামী বছরে গুটি পিঁয়াজ ও আলি পিঁয়াজের সংকট না হয়।
উজানচর ইউনিয়ন রিয়াজুদ্দিন পাড়ার কৃষক মনো সরদার বলেন, মুড়িকাটা পিঁয়াজ চাষ করতে গেলে প্রতি একরে প্রায় ১৮ হাজার টাকা থেকে ৩৬ হাজার টাকার বীজ লাগে।উপজেলার সকল কৃষকরা বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে আলি পিঁয়াজ চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বিষয় গোয়ালন্দ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন,এই উপজেলায়২১৬০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজ,১৭০ হেক্টর জমিতে আলি পিঁয়াজ,দানা পিঁয়াজ(কদম)৬ হেক্টর জমিতে এবং ১৫৭০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন,এই উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কৃষকদের মাঝে কৃষি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এবং বিগত বছরের চাইতে এবছর পিঁয়াজ রসুনের চাষ বেশি হয়েছে ,তবে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চাইতে উজানচর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পিঁয়াজ রসুনের চাষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন সরকারি ভাবে কৃষকদের কোন প্রকার সহায়তা আসে সেটা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যদি কৃষকদের কোন প্রকার সহায়তা আসলে সেটা তাঁদের মাঝে প্রদান করা হবে।